ক্রমেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনার নতুন প্রজাতি ওমিক্রন। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম এর হদিস মিলেছিল। সেখান থেকে ক্রমে অনেক দেশেই পাড়ি দিয়েছে।

কতটা সংক্রামক নতুন এই প্রজাতি, টিকা এর বিরুদ্ধে কতটা কার্যকর, এসব নিয়ে গবেষণা চলছে এখনও। তবে এই প্রোটিন স্পাইকের ৩০বার বিয়োজন ঘটেছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগে বিশেষজ্ঞরা। অনেকেই বলছেন, ডেলটা প্রজাতির থেকেও ভয়ঙ্কর হতে পারে এই ওমিক্রন।

ওমিক্রনের সংক্রমণ কীভাবে বোঝা যাবে?‌ এর উপসর্গ কী?‌ দক্ষিণ আফ্রিকার চিকিৎসক ডা.‌ অ্যাঞ্জেলিক কোয়েটজির দাবি, এই ভাইরাসের উপসর্গ খুবই মৃদু। এই কোয়েটজিই গোটা দুনিয়াকে করনোরা নতুন এই প্রজাতি সম্পর্কে প্রথম সতর্ক করেছিলেন।

তিনি বলেন, ‘‌নতুন রূপের দ্বারা সংক্রমিত রোগীদের মধ্যে অপরিচিত উপসর্গের দেখা পেয়েছি।’‌

আরেক চিকিৎসক জানিয়েছেন, এর লক্ষণ তেমন নেই। অনেক রোগীই এই প্রজাতিতে আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে থেকেই সুস্থ হয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি হননি। সেকথা মেনে নিয়েছেন কোয়েটজিও। তবে তিনি জানিয়েছে, গত ১০ দিনে অন্তত ৩০ জন রোগী তাকে নতুন উপসর্গের কথা জানিয়েছেন।
কী কী হয় রোগীদের?‌ খুব ক্লান্ত লাগে রোগীদের। গলায়, পেশীতে ব্যথা। শুকনো কাশি হচ্ছে অনেকের। তাপমাত্রাও বেড়ে যাচ্ছে শরীরের। ডেল্টার থেকে উপসর্গ অনেকটাই আলাদা। তবে কোয়েটজির আশ্বাস, বেশিরভাগ রোগীকেই হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়নি। উপসর্গ খুবই কম ছিল। তারা বাড়িতে চিকিৎসার দ্বারাই সুস্থ হয়েছেন।

এখন সময়/শামুমো